December 22, 2024, 10:19 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে লেখা একটি গীতি কবিতা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। বইটির নাম “জাতির জনক কথা বলে”। গীতি কবিতাগুলো লিখেছেন নজরুল ইসলাম পলাশ। তিনি পেশায় স্বল্প শিক্ষিত একজন দর্জি। এ বছর একুশের বই মেলায় বইটি প্রকাশিত হয়।
কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তরুণ সমাজ সেবক মনির হাসান রিন্টুর সভাপতিত্বে বইটির প্রকাশনী উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মতিয়ার রহমান মজনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, দৈনিক কুষ্টিয়া ও ইংরেজী সাপ্তাহিক দি কুষ্টিয়া টাইমসের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ড. আমানুর আমান, কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিলাইদহ ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান তারেক, কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারুন-অর-রশিদ, কুমারখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক মাসুদ রানা ও বাশঁগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আলী হোসেন। বক্তব্য রাখেন সেনালি ব্যাংক কর্মকর্তা মুকুল হোসেন, কবি ওয়াজেদ বাঙালী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুকে না জানলে বাংলাদেশকে জানা যাবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। যে ইতিহাসে একজনই নায়ক তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু। তার সংগ্রামী ইতিহাস বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তিনি ধন্যবাদ জানান অজ পাড়াগাঁ থেকে একজন সাধারন মানুষ হয়েও যিনি গানে গানে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন তিনি উদ্যোগ নেবেন যাতে করে বইটি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছানো যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ড. আমানুর আমান বলেন বিশে^র অনেক দেশই অনেকভাবে স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীনতার স্থপতিও রয়েছেন, স্বাধাীনতার অনেক নায়কও থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে স্বাধীনতার স্থপতি ও স্বাধীন দেশ এক ও সমার্থক। যেখানে বঙ্গবন্ধুর কোন সমকক্ষ ছিল না। বঙ্গবন্ধু একটি জাতিকে এক জাতিয়তাবাদী চেতনায় উদ্ধুব্ধ করেছেন, মুক্তির চেতনা দিয়েছেন এবং স্বাধীন একটি ভু-খন্ড দিয়েছেন। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি “জাতির জনক কথা বলে” গীতি কবিতার লেখক নজরুল ইসলাম পলাশকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সৈনিক হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন পলাশদের মতো নি:স্বার্থ লেখক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা দেশে তাদেরকে মুল্যায়নের আওতায় আনতে হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান তারেক বলেন নজরুল ইসলাম পলাশ আমাদের অনেকেরই চোখ খুলে দিয়েছেন যে কিভাবে নি:স্বার্থভাবে কাজ করতে হয়। তিনি এমন একজন মানুষকে নিয়ে গান লিখেছেন যিনি বাঙালীর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালীর এক ভীষণ আবেগ যাকে ঘিরে। তিনি এই কলম সৈনিকের মুল্যায়ন হবে বলে বিশ^াস করেন।
যুবলীগ নেতা হারুন-অর-রশিদ বলেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো অনেক বেশী লিখতে হবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত তাকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় মনির হাসান রিন্টু বলেন তিনি নজরুল ইসলাম পলাশকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বিবেকের দায় থেকে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে অনেক প্রতিক‚লতার মধ্যেও একজন মানুষ দীর্ঘ এক সাধনা নিয়ে জাতির পিতার আর্দশের সৈনিক হিসেবে তাকে নিয়ে অসংখ্য গান রচনা করে মানুষকে জানিয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকে এটা দেশের জন্য অনেক বড় একটি কাজ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ঢাকা বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় গবেষণা পরিষদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বিল্লাল হোসেন।অনুষ্ঠান শেষে লেখকের গান নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Leave a Reply